খবর ৭১: ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিলো সে বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা কখনোই সফল হয় না। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। তারা বলেছেন সম্প্রতি কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যে হামলা হয় তার নেপথ্যে ছিল ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। অথচ মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে।’
রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যম ও মানুষের বাকস্বাধীনতাকে সম্পূর্ণ রুপে হরণ করতে সম্প্রচার আইন করতে যাচ্ছে সরকার। মূলত এই আইনের শিরোনামকে যতই ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হোক না কেন এটি যে বিরোধী দল বহুমত বিশ্বাস স্বাধীন চিন্তার উপর কুঠারাঘাত করার জন্যই এই আইন পাশ করার তোর-জোর শুরু করেছে সরকার যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা বিরোধীতা ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বেপরোয়াভাবে দমন করার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকারের আমলে তাদের সৃষ্ট নানা গণবিরোধী আইনের মধ্যে এটি হবে আরেকটি ভয়াবহতম কালো আইন। বাংলাদেশের মানুষ এমন কালো আইন মেনে নিবে না। আমি বিএনপি’র পক্ষ থেকে সরকারের এহেন সম্প্রচার আইন-২০১৭ পার্লামেন্টে পাশ করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, এম এ মালেক, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।