উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম নবীকে (৫৬) আবারও হত্যার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল নড়াইলের কালিয়া শহর থেকে ভ্যানযোগে তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে পৌরসভার মির্জাপুরে পৌঁছালে পূর্বশত্রুতার জের হিসেবে তার বামহাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এছাড়া শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখমের ঘটনা ঘটায়। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, আত্মরক্ষার জন্য নড়াইলের কালিয়া থানায় জিডি করেও প্রতিপক্ষদের নির্যাতনের হাত থেকে তিনি রক্ষা পেলেন না। পথচারী ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোকা গ্রামে উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সাবেক আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক,সালামাবাদ ইউপির মেম্বার ও কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি জোকা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম নবীর নিকট এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ রসুল কাজী গ্রুপের লোকজন আমাকে গত বছরও একই রোডে রাত ৮টার দিকে হত্যা করতে করেছিল। উপজেলার সালামাবাদ ইউপির জোকা গ্রামের রসুল কাজীর ছেলে যথাক্রমে তৈয়ের কাজী,মুস্তাক কাজী ও জাহাঙ্গীর কাজীসহ ১০-১২জন দুবৃত্ত আবারও হত্যার পরিকল্পনা করে। সোমবার বিকালে তার গ্রামের বাড়ি জোকায় যাওয়ার পথে কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়কের পৌর সভার মির্জাপুর নামক সরকারী পুকুরের পাশে মেইন রাস্তার ওপর তিনি ভ্যানযোগে পৌঁছান।এ সময় দুবৃত্তরা তার বহনকারী ভ্যানের ওপর ইঞ্জিন চালিত অন্য একটি ভ্যান চলন্ত অবস্থায় উঠিয়ে দেয়। চালক ও তিনি তখন মারাত্মক আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। এরপর দুবৃত্তরা তাকে গিরে ধরে তার বাম হাত লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে ভেঙ্গে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গার এলো পাতাড়ীভাবে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। বর্তমান কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।কালিয়া থানায় জিডি করেও কোন লাভ হয়নি বলে তিনি দুঃখ করে যুগান্তর বলেন । প্রতিপক্ষের পুর্বের(৮মার্চ’১৬)হত্যার চেষ্টার ঘটনার গুরুতর জখমের কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলা ফেরা করতে পারতেন না বলে জানা গেছে। এপ্রসঙ্গে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শমশের আলী, এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ প্রসঙ্গত,৮মার্চ’১৬ মঙ্গলবার রাত ৮টায় গোলাম নবী মোল্যা কালিয়া শহর থেকে নিজ বাড়ী সালামাবাদ ইউপির জোকা গ্রামে যাওয়ার পথে হত্যার চেষ্টায় তারা তার দুপায়ের গোড়ালীর রগসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাড়কাটা গুরুতর জখম করেছিল। এঘটনায় মামলা হয়। বর্তমান মামলাটি বিচারাধীন আছে।এছাড়া ১৬আগষ্ট গোলাম নবীকে আবারও হত্যার হুমকি দিলে ওইদিনই তিনি থানায় একটি জিডি করেন।যার নম্বর ৫৫০।
নড়াইলে পুলিশের বাৎসরিক ইন্সúেকশন করলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (২৭৪-১৭১৫৯০৯৪৭২):
নড়াইল পুলিশের বাৎসরিক কার্যক্রম ইন্সপেকশন করলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ দিদার আহম্মেদ। এ উপলক্ষে নড়াইল জেলা পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ডিআইজি মহোদয় নড়াইলে পৌঁছালে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অভিনন্দন জানান। এসময় নড়াইল পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে নড়াইলের পুলিশ সদস্যরা কুচকাওয়াজ ও ডিআইজিকে স্যালুট প্রদর্শনের মাধ্যমে সম্মান জানান। ডিআইজি মহোদয় সম্মান গ্রহণের পর নড়াইল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও কর্মকান্ড ইন্সপেকশন করেন। এ সময় তিনি সকল কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সবশেষ খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ দিদার আহম্মেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’- এ কথা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থেকে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সকলকে নির্দেশ দেন। ডিআইজি মহোদয়ের বাৎসরিক ইন্সপেকশনকে ঘিরে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাব ডিআইজি মহোদয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ক্লাবটির সভাপতি উজ্জ্বল রায় ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা বলেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজ এর আগেও বহুবার নড়াইল জেলায় এসেছেন। তাঁর মতো একজন মহৎপ্রাণ ব্যক্তির দিক-নির্দেশনা মেনে কাজ করলে নড়াইল পুলিশের প্রতি জনগণ আস্থা রাখতে সক্ষম হবে।# ছবি সংযুক্ত
ডিবি পুলিশের অভিযানে ২ ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (২৭৪-১৭১৫৯০৯৪৭২):
প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি নড়াইলের সুযোগ্য পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নড়াইল জেলায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম মোট ৭৫ পিচ ইয়াবাসহ দুই মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। আটকৃতরা হলো নড়াইল সদর উপজেলাধীন ঘোড়াখালী রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম ও অপরজন হলো নড়াইল সদর উপজেলাধীন বাকা গ্রামের বাসিন্দা রিপন (২৫)। ডিবি পুলিশের এএসআই আলমগীর ও এএসআই রাজ্জাকের নেতৃতে কনস্টেবল মুরাদ, শিমুল, বায়েজিদ, ওলিয়ার, জাহাঙ্গীর, সাজ্জাদসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় মনিরুল ইসলামের নিকট থেকে ৩০ পিচ এবং রিপনের নিকট থেকে ৪৫ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান, নড়াইলকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে তিনি সমাজের সুধীমহলসহ সাংবাদিকদের সার্বিক সহেযাগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ### ছবি সংযুক্ত
নড়াইলের কালনা সেতু দরপত্রের তারিখ আবার বাড়ল?
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■(মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর) ২৭৪-১৭১৫৯০৯৪৭২):
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এবং বৃহৎ মধুমতি নদীর ওপর নড়াইল- কালনা সেতুর দরপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ আরও এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন ছিল। কিন্তু ঠিকাদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কালনা সেতু নির্মিত হলে বেনাপোল স্থলবন্দর-যশোর-নড়াইল-পদ্মা সেতু-ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়কের মাধ্যমে ‘আঞ্চলিক যোগাযোগ’ স্থাপিত হবে। ৬ লেন বিশিষ্ট কালনা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৮ দশমিক ৫ মিটার। এছাড়া নড়াইলের কালনা এবং গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া দুই অংশে ৪ দশমিক ৩০ কিমি অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এজন্য ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এখন যৌথ পর্যবেক্ষণ চলছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ বৃহৎ সেতু নির্মিত হবে। এ সেতু নির্মিত হলে খুলনা বিভাগের সাথে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের যাতায়াতের ক্ষেত্রে জ্বালানি খরচ কম ও সহজ হবে। কৃষি পরিবহন ও বিপণন সহজ হবে। চাঙা হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এর সুফল পাবে খুলনা বিভাগ ও আশেপাশের অন্তত ২০টি জেলার কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বসাধারণ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি একনেক সভায় ২৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নড়াইল-গোপালগঞ্জ জেলার সীমান্তবতী মধুমতি নদীর ওপর কালনা ঘাটে চার লেন বিশিষ্ট কালনা সেতু প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করেন। কিন্তু এর পৌনে তিন বছর পর জাইকার সহায়তায় নতুন নকশায় এবং বৃহৎ বাজেটে ছয় লেন বিশিষ্ট এ সেতু নির্মিত হচ্ছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) নড়াইল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরুল হক জানান, নড়াইল থেকে ঢাকার দূরত্ব ১২৭ কিমি, বেনাপোল-ভায়া কালনা-ঢাকা ২০১ কিমি, যশোর-ঢাকা ১৬১ কিমি, খুলনা-বসুন্দিয়া-কালনা-ঢাকা ১৯০ কিমি। সেতুটি নির্মিত হলে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার। সেতু বাস্তবায়নকারী প্রকল্প ‘ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাংলাদেশ’-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন সিংহ এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর সেতুর দরপত্র আহবান করা হয়। সোমবার (২০ নভেম্বর) দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন থাকলেও ঠিকাদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে এবং একই দিন দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে। তিনি সেতুর প্রাক্কলিত ব্যয় সম্পর্কে বলেন, সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২শ’ কোটি টাকা। তবে এ ব্যয় বাড়তে পারে।#২৭৪-১৭১৫৯০৯৪৭২): ছবিযুক্ত
নড়াইলের ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ১২ মাসের আট মাস থাকে মাঠজুড়ে কচুরিপনা ও পানির নিচে ?
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■((মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর) ২৭৪-১৭১৫৯০৯৪৭২):
নড়াইলের সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বছরের প্রায় আট মাস থাকে পানির নিচে। কলেজের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও উপজেলা সদরের অন্তত ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত মাঠটি জলাবদ্ধ থাকায় হচ্ছে না ক্রীড়া চর্চা ও প্রতিযোগিতা। বন্ধ রয়েছে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আনিচুর রহমান জানান, ওই কলেজ ছাড়াও নড়াইলের পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, নড়াইলের লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নড়াইলের মিতালী মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদরের অন্তত ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ মাঠ ব্যবহার করত। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো এ মাঠে। জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিতে শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাছাই পর্বের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এ মাঠেই হতো। ব্যায়াম করতে উপজেলা সদর ও আশপাশের লোকজন এ মাঠ ব্যবহার করতেন। বিকেল-সন্ধ্যায় উন্মুক্ত বাতাসে বসে শিশু, কিশোর, যুব-বৃদ্ধদের গল্প-আড্ডার আসর বসতো এখানে। গত তিন বছর ধরে মাঠটি বছরের প্রায় আট মাস জলাবদ্ধ থাকায় সব মহল পড়েছেন বিপাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজের দক্ষিণ পাশে বিশাল এ মাঠ। মাঠের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে চলাচলের রাস্তা এবং পূর্ব ও পশ্চিম পাশে বাড়িঘর। মাঠে পানি থইথই করছে। মাঠজুড়ে কচুরিপনা ও ঘাসের ঝোপ। মনে হচ্ছে ডোবা পুকুর। পানি পচে দুর্গন্ধ হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, এ মাঠের পানি নিষ্কাশনের চারটি কালভার্ট ছিল। অপরিকল্পিত ভাবে বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা গড়ে ওঠায় কালভার্টগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে এ জলাবদ্ধতা দূর হতে পারে। মাঠের পাশের বাসিন্দা সৈয়দ আকরাম আলী জানান, গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত ছয় মাস পানির নিচে রয়েছে মাঠটি। আরো অন্তত দুই মাস পানি থাকবে। পানি পচে দুর্গন্ধ হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা খুবই সমস্যায় আছেন। মশার উপদ্রবও বেড়েছে। পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের বিদ্যালয় জাতীয় শীতকালীন অ্যাথ্্লিেটকস প্রতিযোগিতায় টানা নয়বার দেশসেরা হয়েছে। এর প্রশিক্ষণ সকাল-বিকাল এ মাঠেই হতো। স্থানীয়রা জানান, মাঠের গুরুত্ব বিবেচনা করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার গত ৯ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে এসেছিলেন। তিনি মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত করতে বলেন। কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ এনামুল কবীর বলেন, তখই মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছি। এছাড়া গত তিন বছর ধরে সংশ্লিষ্ট নানা মহলে ধরনা দিয়েছি। কিন্তু ফলাফল নেই। পৌর মেয়র আশরাফুল আলম এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি ডিসেম্বর নাগাদ বরাদ্দ হবে। (২৭৪)(১৭১৫৯০৯৪৭২): ছবিযুক্ত
নড়াইলের চিন্মিত মাদকের স্পট ও ইভটিজিং বিরোধী মটর সাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত?
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■((মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর) ২৭৪-১৭১৫৯০৯৪৭২):
নড়াইল জেলাকে মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত করার লক্ষে পুলিশ সুপার (এডিশনাল ডিআইজি) সরদার রকিবুল ইসলাম’এর নেতৃত্বে থানা ও নড়াইলের ডিবি পুলিশ সকালে এক মটর সাইকেল শোভাযাত্রা ও পথসভার আয়োজন করেছেন। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলাকে মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত করার লক্ষে এলাকায় অধিক জন সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পুলিশ সুপারের উদ্দ্যোগে গতকাল মটর সাইকেল শোভাযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোভাযাত্রাটি পৌর-শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মাদকের কয়েকটি চিন্মিত স্পট ও ইভটিজিং বন্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পথসভা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করেন। মটর শোভাযাত্রাটি থানায় এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এ এস আই আলমগীরের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এএসআই রাজ্জাক, ওলিয়ার, বায়জীদ, শিমুল, মুরাদ, সাজ্জাদ,(তদন্ত) মোঃ মনিরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক কেএম জাফর আলী,সাইফুল ইসলাম,শাহিনুর রহমান,হাবিবুর রহমান, সবুর হোসেন, রানা প্রতাপ,নিমাই চন্দ্র, সহকারী উপ-পরিদর্শক বাবুল খান, ওবায়েদ হোসেন, লূৎফর রহমান, নাজমুল হক খন্দকার,ইসমাঈল হোসেন, শংকর, সুজন প্রমুখ। নড়াইল পুলিশ সুপার (এডিশনাল ডিআইজি) এ উদ্দ্যোগকে এলাকাবাসি স্বাগত জানিয়ে বলেন, মাদক ও ইভটিজিং বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবেন। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। ছবিযুক্ত