খবর ৭১: আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় আলাদা ডাকাতির ঘটনার ধাওয়া করতে গিয়ে ডাকাত ছোড়া গুলিতে গ্রামের তিন বাসিন্দা নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে। নিহতরা হলেন চরভদ্রাসনের মো. সাজ্জাদ মৃধা ও সেন্টু মৃধা এবং সদরপুরের আব্দুল মালেক খান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতরাত ২টার দিকে ১৫-১৬ জনের একদল ডাকাত চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের মৃধাডাঙ্গি এলাকায় আনসের ফকিরের বাড়িতে ডাকাতি করে মালামাল লুট করে। ওই বাড়িতে গৃহকর্তার ছেলে সোহরাবের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। আজ বৃহস্পতিবার ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। ডাকাতদল ওই বাড়ি থেকে ৪৫ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকা ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। এ সময় গ্রামের মসজিদ থেকে ডাকাতির খবর জানালে লোকজন ছুটে আসে। গ্রামবাসী ধাওয়া করলে ডাকাতদল পদ্মা নদীতে রাখা স্পিডবোটে পালানোর চেষ্টা করে। এলাকার লোকজন তাদের ঘেরাও করার চেষ্টা করলে ডাকাতদল গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় ডাকাতদের গুলিতে সাজ্জাদ মৃধা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যান সেন্টু মৃধা।
সাজ্জাদ ও সেন্টু চাচাতো ভাই। আহত আল আমিনকে ঢাকা এবং স্বপন বেপারীকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চরভদ্রাসন থানার ওসি রামপ্রসাদ ভক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুরের সদরপুর থানার ওসি হারুন-অর রশীদ জানান, গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের মুন্সীচর (বেপারীডাঙ্গি) এলাকায় সুলতান খানের বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত। এ সময় লোকজন ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে ডাকাতের গুলিতে সুলতান খানের ছেলে মালেক খান (২৮) পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ছাড়া ডাকাতদলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন তারা মিয়া। তাকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
খবর ৭১/ইঃ