সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখতে নৌবাহিনীকে সদা সতর্ক থাকতে হবে’

0
409

খবর ৭১:রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ সামুদ্রিক সম্পদ ও সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি আজ বুধবার এখানে খালিশপুরে তিতুমীর নৌঘাটি জেটিতে ৪টি যুদ্ধজাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

তিনি বলেন, সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখা, চোরাচালান ও জলদস্যু দমন এবং জাহাজ চলাচলে ব্যবহৃত সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সদা-সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি সততা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনে গুরুত্বারোপ করে বলেন, আপনাদেরকে সততা, নিষ্ঠা, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, কর্মদক্ষতা এবং উঁচুমানের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্রমাগত সম্পদ আহরণের ফলে স্থলভাগের সম্পদ সীমিত হয়ে পড়ায় সারা বিশ্বের নজর আজ সমুদ্র সম্পদের দিকে। সমুদ্রপথে বাণিজ্য পরিচালনা ছাড়াও সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকায় রয়েছে মৎস্য, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ পদার্থসহ মূল্যবান সম্পদ। এছাড়া রয়েছে ৭১০ কিঃ মিঃ দীর্ঘ উপকূল এলাকা যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় তিন কোটি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছে। বহির্বিশ্বের সাথে দেশের বাণিজ্যের ৯০ ভাগেরও বেশি সমুদ্রপথেই পরিচালিত হয়। এজন্য জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা বিধান অপরিহার্য।

রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ বলেন, দেশের সামরিক কার্যক্রমে নব অধ্যায়ের সূচনায় বর্তমান সরকার নৌবাহিনীবহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, মেরিন এয়ারক্রাপট ও পেট্রোল ক্রাপট সংযোজন করেছে।

রাষ্ট্রপতি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভিশনের উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতার পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, ইনশাআল্লাহ্।

তিনি বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতার উল্লেখ করে বলেন, আগামী দিনে জাহাজর রপ্তানীর মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ডসহ দেশের বিভিন্ন শিপইয়ার্ড আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

রাষ্ট্রপতি ভাষণের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বিশেষকরে নৌবাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে নিশান, দুর্গম, হালদা ও পশুর এই ৪টি যুদ্ধজাহাজ নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম, সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মুহাম্মাদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ, জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here