উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের পল্লীতে সংখ্যালঘু গৃহবধূকে অপহরণ করে ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়া বিএনপির এক নেতা একই গৃহবধূকে মঙ্গলবার ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী কালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, গৃহবধূটি স্থানীয় চাঁচুড়ী বাজারের দর্জি দোকানী এক হিন্দু সংখ্যালঘুর স্ত্রী। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশের খাল হতে গোসল করে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট এবং পুরুলিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য লায়েক শেখ ওরফে লায়েক আলী (৫৫) তাকে একা পেয়ে বাড়ির সীমানায় ঢুকে যৌন কামনা চরিতার্থ করতে ওই গৃহবধূকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর আগে ওই গৃহবধূকে ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগে একই বছরের ২৭ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওই দিনই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে খুলনার ডুমুরিয়া থানায় লায়েক শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। বর্তমান বিচারাধীন ওই মামলা তিনি প্রায় ১১ মাস হাজতবাস করেন। এরপর থেকে তিনি জামিনে আছেন। এছাড়া লায়েক শেখ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে কালিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী এবং ২০১৩ সালের ১৬ অক্টোবর কালিয়া থানায় (মামলা নং-০৭) দায়েরকৃত আরো একটি বিচারাধীন মামলার আসামী। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন,‘ দিনের বেলা প্রকাশ্যে একজন সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’ এ ব্যাপারে ঘটনার শিকার গৃহবধূকে নিজের স্ত্রী দাবি করে লায়েক শেখ কে বলেন,‘ অকারণে আমাকে ওই মহিলা ঝাঁটা দেখিয়ে গালি-গালাজ করলে আমি তাকে কোলে তুলে নিয়েছিলাম মাত্র। এর বাইরে আর কোন ঘটনা ঘটেনি। অথচ আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।’এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শমসের আলী এ প্রতিবেদকক উজ্জ্বল রায়কে বলেন,‘ থানায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
খবর ৭১/ ই: