১৮ বছর ধরে ঘুরছে একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য!

0
529

মোঃ আব্দুল হালিম,ফুলবাড়ীয়া থেকে ঃ কামরুল ইসলাম। শারিরীক প্রতিবন্ধী হয়ে পৃথিবীতে এসেছে। শৈশব ও কৈশোর অন্যদশজন দূরন্ত বলকের মতো ছুটাছুটি করতে পারেনি। শিশু ও কিশোর অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়েই যতটুকু পারছে চলাচল করেছে। বর্তমানে তার বয়স ১৮ বছর। এখন হামগুড়ি দিয়েও চলতে পারেনা। মায়ের কোলে চড়ে প্রকৃতীর কাজসহ সবকিছু করতে হয় তাকে। অসহায় হতদরিদ্র পিতা মাতা শারিরীক প্রতিবন্ধী সন্তানের একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য প্রায় ১৮ বছর যাবৎ জনপ্রতিনিধিদের ধারে ধারে ঘুরছে। ৪ বছর ধরে প্রতিবন্ধী তালিকায় নাম উঠলেও এখনো তার ভ্যাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী কার্ড।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ইউনিয়নের পাটুলী গ্রামের দিনমজুর দুলাল মিয়ার চার সন্তানের মধ্যে সবার বড় কামরুল ইসলাম। ছোট সময় দরিদ্র পিতা মনে করেছে হয়তো এক সময় কামরুল হাঁটবে। অভাবের সংসারের কিছুটা হলেও হাল ধরবে। কিন্তু বয়স যতই বারতে থাকে অসহায় পিতামাতার অসহায়ত্ব বাড়তে থাকে। পিতা দুলাল মিয়া দিনমুজরের কাজ করে, আর মা জাহানারা খাতুন অন্যের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করতো। অভাব অনটনের সংসার থাকায় প্রতিবন্ধী সন্তানের তেমন চিকিৎসা করাতে পারেনি।

প্রতিবন্ধী কামরুলের মা জাহানারা খাতুন জানান, সন্তানের একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য আমি ও আমার স্বামী প্রায় ১৮ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিসহ নেতাদের কাছে ঘুরেছি, সবাই আশ্বাস দিয়েছে, কেউ কার্ড করে দেয়নি। মা হয়ে তো আর সন্তানকে ফেলে দিতে পারি না। আগের পরের বাড়ীতে কাজ করেছি। এখন তাও করতে পারি না। স্থানীয় অরিফ হোসেন বলেন, তাদের নামেই প্রতিবন্ধী কার্ড হয়েছে যারা মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের টাকা পয়সা দিতে পারছে। তিনি বলেন প্রতিবন্ধী কামরুলের পরিবারের মতো অসহায় ও দরিদ্র এ গ্রামে নেই বললেই চলে।

আছিম পাটুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সাইফুজ্জামান জানান, প্রতিবন্ধী হলে অবশ্যই সে কার্ড পাবে। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  উপজেলা সমাজসেবা অফিস খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২০১৪ সালে কামরুল ইসলাম প্রতিবন্ধী হিসাবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লীরা তরফদার জানান, তালিকা ভুক্ত হলে অবশ্যই সে প্রতিবন্ধী কার্ড পাবে। খোজ নিয়ে তার কার্ডের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here