আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে কুয়েটের অ্যাকাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে এসব ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝোলানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সকাল থেকে অনেক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করতে শুরু করেছেন। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে যারা ভাড়া রয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কুয়েটের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: আসিফ মাহমুদ
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের ইস্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। এদিন সকালে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনেও তারা বিক্ষোভ করেন। দুপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আছে যৌথবাহিনী।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, কুয়েটে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।