পেনশন থেকে মাইলেজ ভাতা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সারাদেশের মতো রাজশাহী থেকেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছেন রানিং স্টাফরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে স্টেশন ছেড়ে যায়নি কোনো ট্রেন। লোকাল, আন্তঃনগর, মেইলসহ সব ধরনের ট্রেন বন্ধ রয়েছে। ভোর থেকে শত শত যাত্রী অপেক্ষা করছেন। হঠাৎ ট্রেন বন্ধে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী যাত্রীরা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের তথ্যমতে, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১৮ জোড়া ট্রেন ছেড়ে যায়। তবে আজ সকাল থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। এদিকে রেলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। হটাৎ ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ভোরে রাজশাহী স্টেশনে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
তারা বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই জানতো তাদের এই কর্মসূচির কথা, তাহলে টিকিট ছাড়লো কেন? ট্রেন বন্ধের বিষয়ে কোনো পূর্বনির্দেশনা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। এছাড়া দাবি আদায়ে যাত্রী বা সাধারণ নাগরিকদের জিম্মি করাটা কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্ন করেন তারা।
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেনের যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, শীতের মধ্যে সকাল সকাল অনেক কষ্ট করে স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন চলছে না। জরুরি কাজে ঢাকা যেতে হবে, তাই টিকিট কেটেছিলাম। রাতে টিকিট কেটেছি। তারা যদি এই কর্মসূচি জানতোই তাহলে কেন টিকিট দিলো?
স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নুরানী বেগম। তিনি বলেন, দাবি-আন্দোলন থাকবে। সব কিছুরতো একটা নিয়ম আছে। তাদের দাবির জন্য যাত্রীদের জিম্মি করাটা কতটুকু যৌক্তিক। এটা মোটেও ঠিক নয়। সকাল থেকেই রাজশাহী রেলস্টেশনে যাত্রী নিরাপত্তাসহ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
অপরদিকে যারা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন তারা অনলাইনে টিকিটের সমমূল্য ফেরত পাবেন বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা করছে। কোনো প্রকার টাকা কাটা হবে না বলেও উল্লেখ করছেন রেল কর্মকর্তারা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সকাল থেকে সব ট্রেন বন্ধ আছে। দাবি-দাওয়া পূরণ হলে বা আন্দোলন প্রত্যাহার হলে ট্রেন চলাচল আবার শুরু হবে। তবে আপাতত বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের যারা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন তারা অনলাইনেই টাকা রিটার্ন পাবেন। এছাড়াও যারা কাউন্টারের টিকিট কেটেছেন তারা কাউন্টারে সমমূল্য ফেরত পাবেন।