১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন সাকিব আল হাসান। পেশাদার ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘ। লম্বা এই সময়ে জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে অবদান রাখলেও মূলত বোলার সাকিবের কদরই বেশি। বাঁহাতের স্পিন ভেল্কিতে গড়েছেন কতোই না রেকর্ড। সেই সাকিবের ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর মধ্যে আবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগে খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশনে ধরা পড়েছে ত্রুটি। ফলে সব ধরনের ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সাকিব। দুঃসংবাদ হলো, বৈধতা ফিরে পেতে সাকিব বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি। জানা গেছে, বার্মিংহামে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উতরাতে না পারার পর গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে দেওয়া পরীক্ষায়ও সাকিবের অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে।
এরই মধ্যে চেন্নাইয়ে আরেক দফা বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। সেটির ফলাফল এখনো আসেনি। তাতে প্রশ্ন উঠেছে সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা নিয়ে। তাকে নিয়ে বোর্ডও ভাবছে! দ্বিতীয় দফায় বোলিংয়ের বৈধতা প্রমান না করতে পারায় হতাশ প্রকাশ করেছে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
গতকাল সিলেটে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে লিপু বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন, সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, ভেরি শকিং। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবর্তীর্ণ হয়েছেন কি না, এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’
সাকিবের ব্যাপারে বোর্ড কি ভাবছে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার দলে থাকার সম্ভবনা কতটুকু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে আমরা নির্বাচকমন্ডলীরা বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে, তিনি (সাকিব) আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য এভেইলেবল আছেন কিনা। সেটা এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি। যেহেতু আবার একটা শোনা যাচ্ছে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। সেটার জন্যও ওয়েট করতে হবে। আমাদেরকে আসলে হয়তো এভ্রি মিনিট কাউন্টস। আশা করি এক-দুইদিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো।’