আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ন্যায়বিচারের দাবিতে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা রাজধানীতে সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে নিহতদের পরিবারের সদস্য, জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বলপূর্বক গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এই সমাবেশের আয়োজন করে। অংশগ্রহণকারীদের হাতে বিভিন্ন ছবি ও প্ল্যাকার্ড ছিল। তারা ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।
যেসব পরিবারের সদস্যরা এখনো নিখোঁজ আছেন এবং স্বজনরা তাদের অবস্থান নিয়ে কিছুই জানেন না তাদের স্বজনরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এবং তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
সমাবেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা অতিথি ছিলেন। সমাবেশ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে চোখ বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়েছেন এমন অনেকে এই সমাবেশে অংশ নেন।
অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও আখতার হোসেন, বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান এবং মায়ের ডাকের প্রতিষ্ঠাতা হাজেরা খাতুন।