প্রয়াত বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে ডিএনএ টেস্টের ফলাফল পাওয়া গেছে। ডিএনএ মিলেছে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা ব্যক্তিই বিএনপির আলোচিত নেতা হারিছ চৌধুরী। এবার তার মরদেহ পরিবারে পছন্দমতো কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাফন করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদন পেয়ে আদালত আদেশে বলেন, হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ টেস্ট মেলায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবর দেওয়া হোক। তার পরিবার চাইলে তাকে তাদের খুশিমতো জায়গায় কবর দিতে পারবেন।
হারিছ চৌধুরী ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় আত্মগোপনে চলে যান। বছরদুয়েক আগে গণমাধ্যমে খবর আসে, হারিছ চৌধুরী দেশেই আছেন। তবে আত্মগোপনে রয়েছেন। কিছুদিন পর গণমাধ্যমে আরেকটি খবর আসে, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন হারিছ চৌধুরী। তিনি পান্থপথের এক বাসায় নাম পরিবর্তন করে মাহমুদুল হাসান নামে বসবাস করতেন। সাভারের একটি মাদরাসার কবরস্থানে মাহমুদুল হাসান নামেই দাফন করা হয় তাকে।
বাবার মৃত্যুর ধোঁয়াশা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম। সব শুনে পরিচয় নিশ্চিতে মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে তার মরদেহ তুলে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। প্রসঙ্গত, বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হারিছ চৌধুরী ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হন।