ব্যাটিং ব্যর্থতার পর প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৬ উইকেট

0
8

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। এতে ৩৪ রানের লিডে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর টাইগারদের প্রাপ্তি ৬ উইকেট।
সোমবার (২১ অক্টোবর) নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এইডেন মারক্রাম। ২৭ বলে ২৩ রান করে তারে দেখানো পথে হাঁটেন ক্রিস্টান স্টাবস। এরপর ডেভিডকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন টনি ডে জর্জি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ডেভিড। ২৫ বলে ১১ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।
কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন টনি ডে। ২৮তম ওভারে তাইজুলের হাতে বল তুলে দেন শান্ত। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। টনি ডে ৭২ বলে ৩০ রান এবং ৪ বলে শূন্য রান করে ম্যাথু ব্রিটজকে আউট হলে ছন্দ হারায় প্রোটিয়ারা। তবে রায়ান রিকেলটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লিডে পা রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর ৩২তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন তাইজুল। এবারে রায়ান রিকেলটনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেন এই টাইগার স্পিনার। ৪৯ বলে ২৭ রান করেন রিকেলটন।
শেষ পর্যন্ত কাইলে ভেরাইনের ১৮ রান এবং উইয়ান মুল্ডারের ১৭ রানে ভর করে ৪১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলে দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আলোক স্বল্পতার করণে ৬ ওভার হাতে থাকতেই দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেছে আম্পায়ার। এখান থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবে প্রোটিয়ারা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই ব্যর্থতার আভাস দেন শান্তরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ৪ বল খেলে ০ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। দলীয় ৬ রানে প্রোটিয়া পেসার ওয়ান মুলদারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
এক ওভার পরেই ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন মুমিনুল হকও। দলের বিপর্যয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত এসে থিতু হতে চাইলেও তিনি হতাশ করেছেন। নিরীহদর্শন বলে কেশব মহারাজের কাছে সহজ ক্যাচ দিনে ব্যক্তিগত ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। ২০ বলে ১১ রান করে রাবাদার বলে বোল্ড হন তিনি। ১৩ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন কুমার দাস। এতে দলীয় ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর জয়কে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন ওপেনার জয়। লাঞ্চ বিরতির পিচে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ৯৭ বলে ৩০ রান করে বোল্ড আউট হন জয়ও।
এদিন নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেননি জাকের আলী। ১৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তাইজুল ইসলাম। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নাঈম হাসান (৮) এবং তাইজুল ইসলাম ১৬ রানে আউট হলে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here