এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যে তা জানা রিজার্ভের এই পরিমাণ জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম রিজার্ভ এতটা কমল। রিজার্ভের এই অঙ্ক বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাব। আর গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করা হয়। গ্রস বা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়। আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৪ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন।
গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমছে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে ৫০ বিলিয়নের মাইলফলকের দিকে ছিল দেশ। তবে মহামারী বিশ্ববাজারে শেষে জ্বালানি আর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, এরপর ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হলে আরও বেড়ে যায় আমদানি খরচ। এতে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। গত দুই অর্থবছর বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরকারি ঋণপত্র বা এলসি খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে, এতেও কমছে বৈদেশিক মুদ্রা। গত অর্থবছরে ২৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে।