খবর ৭১: প্রবাসীদের অধিকার ও কল্যাণে নিয়োজিত মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ড. কামরুল আহসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অননুমোদিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৫৭ জন বাংলাদেশির মুক্তি চেয়ে গত ৭ এবং ৮ আগস্ট ড. কামরুল আহসানের দীর্ঘ সময়ের বন্ধু দুবাইয়ের শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পুত্র ও কন্যা যথাক্রমে প্রিন্স শেখ আবদুল্লাহ বিন মাকতুম বিন রশিদ আল মাকতুম এবং প্রিন্সেস শেখা ফুত্তাইম বিনতে মাকতুম বিন রশিদ আল মাকতুম-কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন। চিঠি দেওয়ার ২৫ দিন পর গতকাল ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করার ঘোষনা দেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। বাংলাদেশিদের ক্ষমা করার আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড.কামরুল আহসান।
ড.কামরুল আহসান দোষী সাব্যস্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিকের শাস্তি মওকুফ করে সাধারণ ক্ষমা করার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানিয়ে দুটি চিঠি পাঠান। তিনি তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অননুমোদিত বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ভুল করেছে, কিন্তু তাদের প্রিয় বাংলাদেশ বিগত ১৭ বছর একনায়কতন্ত্রের করাল গ্রাসে গণতন্ত্র লুন্ঠিত তাই স্বৈরাচার শাসনের অবসানের জন্য তারা আবেগতাড়িত হয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। উল্লেখ্য যে, মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ড. কামরুল আহসানের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দুবাই প্রিন্স ২০২১ সালে ১০ বছর ধরে চলমান বাংলাদেশি কর্মীদের দুবাই প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দুবাই সরকার তুলে নিয়েছিলেন।
চিঠির ছবি সব নিউজ লিংক