অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফোনকলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করলে ড. ইউনূস বলেন, সরকার সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার
প্রতিবেদনগুলো অতিরঞ্জিত করা হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে এসে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়ে সরেজমিন থেকে রিপোর্ট করার আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নরেন্দ্র মোদি অন্তর্র্বতী সরকারকে শুভেচ্ছা জানান এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
নরেন্দ্র মোদি ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে জানান, তিনি তাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। মোদি বলেন, প্রফেসর ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং সারাদেশে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে।
টেলিফোন আলাপকালে নরেন্দ্র মোদি ১৭ আগস্ট নয়াদিল্লিতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠেয় থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান। ইউনূস ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে সম্মত হন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র আন্দোলনের ফলে তার অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিপ্লব এবং তার সরকার ছাত্র-জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। দেশের সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি কার্যকর করা এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।