গত ৫ আগস্ট থেকে লাপাত্তা ছিল আওয়ামী লীগ নেতারা। এখন একে একে আটক ও গ্রেফতার হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।
রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডিএমপি দাবি করেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থানা পুলিশ নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় আত্মগোপনে থাকাবস্থায় ১২তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত-কে গ্রেফতার করে। তাদেরকে পল্টন থানায় মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। তখন ডিএমপির একটি সূত্রে বলা হয়েছিল, নৌপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে মো. শাহজাহান নামে এক হকার নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে (সিএমএম) হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত দুই জনেরই ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।