গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের ফলে চলা অস্থিরতার মধ্যে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চরম অস্থিরতা চলছে। গত বুধবার একদল কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দফতরের প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এদিন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানসহ চারজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।
গত কয়েক দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যাননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি ইতোমধ্যে দেশের বাইরে চলে গেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
আব্দুর রউফ তালুকদার ২০২২ সালের ১১ জুন চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ পান।
বিসিএস ৮৫ ব্যাচের আব্দুর রউফ তালুকদারকে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই অর্থসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর সিনিয়র সচিব হিসেবে পদমর্যাদা দেওয়া হয়। করোনাকালীন দেশের অর্থনীতির ক্রান্তিকালে তিনি অর্থনীতি চাঙা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এজন্য তাকে গভর্নর হিসেবে বেছে নেয় সরকার।
তবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি তেমন কোনো কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের মতো হঠকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পাত্র হয়েছেন। তার সময়ে মুদ্রাস্ফীতির উর্ধ্বগতি ছিল। টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দেওয়ার কারণেই এই মূল্যস্ফীতি হয়েছিল বলে মনে করেন অনেক অর্থনীতিবিদ। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে তাকেকে ‘ডি গ্রেড’ দেওয়া হয়।