বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের কোন রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নেই। আমি দেখি না, আপনার তো বলেন আওয়ামী লীগ সরকার। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের নেই। একটি অদৃশ্য শক্তির মধ্য দিয়ে প্রচলিত হচ্ছে। এটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কথা শুনলে তা বোঝা যায়।
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘সরকার জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ আগের মতো সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলাকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র আন্দোলন ৬ সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে নাটক করা হয়েছে, এটা রাজনৈতিক জীবনে কেউ দেখেনি। যে ডিবি অফিসে বসে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। ত্রাস সৃষ্টি করে এগুলো করা হয়েছে। আবার ডিবি অফিস এখন ‘ভাতের হোটেল’ এটা সবাই জানে। এ ধরনের একটা নাটক করে পুরো জাতিকে ছোট করা হয়েছে। এটি নিয়ে হাইকোর্টও বলেছেন। এরপর আর কিছু বলার নেই।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের শোচনীয় পরিণতির ভয়ে ভীত সরকার প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপব্যবহার করে পার পেতে চাচ্ছে। শত শত শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই আন্দোলন বৃথা যেতে পারে না। সরকারের এই উদ্যোগ বুমেরাং হবে এবং নৃশংস এই হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রাজনীতিকে উন্মুক্ত করা, নিষ্ঠুর দমন নিপীড়ন বন্ধ, গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবী করছি। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন।