টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে বিদায় করে সেমিতে উরুগুয়ে

0
65

প্রথমার্ধে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচ। সেই উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নাহিতাস নান্দেজের লাল কার্ডের পর দশজনের দলের বিপক্ষেও সুযোগটা নিতে পারেন দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। যদিও ব্রাজিলের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে উরুগুয়েকে। তবে কোনো পক্ষই গোল না পাওয়ায় ম্যাচের ফল নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে।

এতেই কপাল পুড়ে ব্রাজিলের। লাস ভেগাসে মূল ম্যাচ গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে উরুগুয়ে। টাইব্রেকারে উরুগুয়ের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন ফেদরিকো ভালবার্দে। তার রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ এডার মিলাতেও হতাশ করেন ব্রাজিলকে। উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেট ফিরিয়ে দেন শট। বেন্টেকার, আরাকাস্টাও গোল করেন উরুগুয়ের পেনাল্টি শ্যুট আউটে। ব্রাজিলের আন্দ্রেস পেরেইরা বল জালে জড়ালেও বারে মেরে দলকে ডুবান ডগলাস লুইস। এরপর অ্যালিসন বেকার গিমিনেজের শট ঠেকিয়ে ব্রাজিলকে কিছুটা আশা দিয়েছিলেন কিন্তু ম্যানুয়াল উগার্তে কোনো ভুল করেননি শেষ শটে।
এদিকে পুরো ম্যাচে দুই দলই লড়াই করেছে সমান তালে। কার্ড জটিলতায় মাঠের বাইরে ছিলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী তরুণ স্ট্রাইকার এন্ড্রিক ফেলিপ। বড় ম্যাচে তার ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় ছিল ব্রাজিলভক্তরা, তবে মাঠের খেলায় সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি তিনি।

ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় ডারউইন নুনিয়েজ সুযোগ পেয়েছিলেন উরুগুয়ের হয়ে লিড নেওয়ার। তবে তিনি হেড দেওয়ার চেষ্টায় ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। ব্রাজিলও বড় সুযোগ মিস করে ২৮ মিনিটে। এন্ড্রিকের বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতর পেতে পারতেন রাফিনহা। কিন্তু এই সেলেসাও উইঙ্গার বলের কাছেই পৌঁছাতে পারেননি। উরুগুয়ে বিপদমুক্ত হয়ে একটু পরই পাল্টা আক্রমণে যায়। কিন্তু নুনেজের হেড চলে যায় গোলপোস্টের ওপর দিয়ে।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ‍ওঠে দুই দলই। ৪৭ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। ফেডরিকো ভালবার্দের দূরপাল্লার শট সহজেই প্রতিহত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। এরপর ৫২ মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ করে উরুগুয়ে। ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে শট করেন ডারউইন নুনেজ। তবে দানিলোর গায়ে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৬ মিনিটে আরাউহো ডি-বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে শট করলেও তা লক্ষ্যে ছিল না। ৬২ মিনিটে ভালবার্দের দূরপাল্লার আরেকটি শট বারের ওপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় উরুগুয়ের সমর্থকদের।

৭৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। বল নিয়ে দৌড়াতে থাকা রদ্রিগোকে পেছন থেকে পায়ে ট্যাকেল করেন নাহিতান নান্দেজ। প্রথমে তাকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। কিন্তু ভিএআর রিভিউয়ের পর লাল কার্ড দেখিয়ে নান্দেজকে মাঠছাড়া করেন রেফারি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ করে ব্রাজিল। ৮৪ মিনিটে এন্ড্রিকের গড়ানো শট সহজেই তালুবন্দী করেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। ৮৬ মিনিটে ফ্রি-কিকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় ভালবার্দে। তবে বারের ওপর দিয়ে মেরে দেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here