আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, বিক্রি করি না: প্রধানমন্ত্রী

0
39

সম্প্রতি ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সমঝোতা স্মারক সই করেছেন সেটা নিয়ে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন। সেটার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। বরং যারা অভিযোগ তুলে তারাই বিক্রি হয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি দুই দফা ভারত সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সমঝোতা নিয়ে যারা দেশ বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন তাদের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিসের মাপে দেশ বিক্রি হচ্ছে, বিক্রিটা হয় কীভাবে?’

এ সময় মুক্তিযুদ্ধের ভারতের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সমালোচনা করে, তাদের জানা উচিত, একটি মাত্র মিত্রশক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। বিশ্বে যারাই অন্য দেশকে স্বাধীনতায় সহযোগিতা করেছে, তারা কিন্তু ফেরত যায়নি। একমাত্র ভারত ব্যতিক্রম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরপরও যারা কথা বলে, বিক্রিটা হয় কীভাবে। তারা নিজেরাই ভারতের কাছে বিক্রি হয়। জিয়া এরশাদ খালেদা, ভারতবিরোধী কথা বলেছে আর ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল, সেটা আমরা জানি।’

শেখ হাসিনা বলেন, রেলপথ ব্যবহারের ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে। ওইসব এলাকার মানুষের জন্য যোগাযোগ সহজ হচ্ছে। ইউরোপে তো বর্ডারই নেই, তারা কি তাহলে বিক্রি করে দিচ্ছে? প্রত্যেকটা দেশই তো স্বাধীন দেশ, তারা তো বিক্রি হয়নি। তাহলে সাউথ এশিয়ায় কেন এটা বাধা হয়ে থাকবে?

সরকার দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই বন্ধুত্ব করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা ‍উন্মুক্ত করে দিলে দেশের মানুষই উপকৃত হবে। কারণ নানা কাজে তাদের ভারতে যেতে হয়।

শেখ হাসিনা জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অন্য দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়। এতে দেশ বিক্রি হয়ে যায় না।

ভারত সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়। এছাড়া তিনটি নবায়িত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও বিনিময় এবং দুটি রূপকল্প ঘোষণা স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়। ভবিষ্যত কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ১৩টি যৌথ কার্যক্রমের ঘোষণা দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here