ঈদ শেষেও অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

0
53

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। তবে অনেকটা ক্রেতাশূন্য রাজধানীর বাজারগুলো। ঈদের ছুটিতে বেশির ভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পিয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। আদা-রসুনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছ-মাংসের বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ছুটির কারণে সরবরাহ কম থাকায় পণ্যের দাম বেড়েছে।

বাজার গুলোয় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। ঈদের আগেও এই মরিচের দাম ছিল ২০০ টাকা। ভারি বৃষ্টিপাতে মরিচের গাছ মরে যাওয়া এবং বাজারে সংকট থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা।

সবজির বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। ঝিঙা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, বরবটি, পটল, ঢেড়শের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা ও পেঁপে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মানভেদে শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা ও পেঁপে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। ঈদের আগে এই পিয়াজের কেজি ছিল ৮০ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ১০ টাকা। এ ছাড়া দেশীয় ও আমদানিকৃত সব ধরনের রসুন ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে আদার কেজি ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা ও আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজ, রসুন ও আদার দাম বৃদ্ধির কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে খুচরা বিক্রেতারা বলেন, এখন সবাই সিজনে পিয়াজ স্টক করে। কৃষক বাজার ঘুরে দেখে দাম কতো, বেশি দাম দেখলে তারপর বাজারে পিয়াজ পাঠায়। এজন্য বাজারে পিয়াজের সংকট থাকায় দামও বেড়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এই মুরগি ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান মুরগি বিক্রেতারা। বাজারগুলোয় প্রতি ডজন লাল ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। এ ছাড়া হাঁসের ডিম ডজন ২০০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও চলছে অস্থিরতা। প্রায় সব ধরনের মাছের কেজিতে ৩০ বা তার বেশি দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, শিং ৫৫০ টাকা, মাগুর ৬৫০ টাকা ও কই ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা ও কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে ইলিশ ১৩শ’ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here