সাড়ে ২৩ লাখ পশু অবিক্রিত, বড় খামারিরা বেশি লোকসানে

0
30

এবার সারাদেশে কোরবানির জন্য গবাদি পশু মজুত ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি। সারাদেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ পশু বিক্রি হয়েছে। অবিক্রিত রয়ে গেছে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি।

সোমবার (১৭ জুন) প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য মতে, গত বছর কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি হয়েছে, অর্থাৎ ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১টি পশু অবিক্রিত ছিল। আর ২০২২ সালে সারাদেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু কোরবানি হয়েছিল।

এত পশু অবিক্রিত থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। খামারিদের মধ্যে যারা বড় গরু বাজারে এনেছিলেন, তার অধিকাংশই অবিক্রিত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। চড়া দামে খাবার কেনা, ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খামার করেছেন, তাদের অনেকের অবস্থা করুণ। খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোই এখন তাদের জন্য কঠিন হবে।

পাবনা, কুষ্টিয়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় গরু নিয়ে আসা খামারি ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। সেই তুলনায় বড় গরুর ক্রেতা ছিলো খুবই কম।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে দেশের সব খামারিরা সারা বছর ধরে পশু লালন-পালন করেন। একটু লাভের আশায় তাদের এ পরিশ্রম। কিন্তু আশায় গুড়েবালি পড়ছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসার কারণে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here