যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বর্বর আচরণ নিয়ে দেশটির বক্তব্য জানার প্রবল আগ্রহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলনায়তনে ব্রিফিংয়ে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার পাঁচ দেশে সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার দেশে ফেরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দেশে মেয়র প্রার্থীকে ঘুষি, হিরো আলম এমনকি চরমোনাই পীরের ভাইকে ঘুষি মারলেও তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বিবৃতি দেয়। এখন যে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার, শিক্ষকদের ওপর হামলা হলো, এ নিয়ে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বক্তব্য কী, তা জানার প্রবল আগ্রহ আমার।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লু আসছেন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য। এ ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। এটি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরও উন্নীত করতে একযোগে কাজ করছি। আগামী দিনেও আমরা তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।
যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা এবং মেট্রোরেলে ভ্রমণের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণে জোর দিয়েছেন। বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কেনা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যারা বিএনপি করছেন, তারা সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। নির্বাচনই যদি করতে না পারেন, কেন রাজনীতি করবেন? নির্বাচন উপজেলা পর্যায়ে হলেও বিএনপি লোক দেখাতে ঢাকায় কর্মসূচি করে। কখন যে তারা লিফলেট নিয়ে দূতাবাসে যায়, তা-ই দেখার। কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয়।