তীব্র তাপদাহের কারণে ঢাকার বছরে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার সমমূল্যের উৎপাদনশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাপপ্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু পোশাক খাতেই ৬০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হবে। চাকরিচ্যুতির ঝুঁকিতে পড়বেন প্রায় আড়াই লাখ পোশাককর্মী।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর এক হোটেলে ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং কর্মক্ষেত্রে জৈবরাসায়নিক দূষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে আসে।
সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।
বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ বের করতে তাপদাহকে সরকারিভাবে দুর্যোগ ঘোষণা করার দাবি জানান আলোচকরা। পাশাপাশি তাপদাহের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতিমালায় তাপদাহ নিঃসরণ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, শুষ্ক এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নেওয়া এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনে তাপদাহকে পেশাগত স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে এপ্রিল ও মে মাসে শ্রমিকরা তাদের মোট কর্মঘণ্টার ২৫ ভাগ হারাতে পারেন। এতে প্রাক্কলিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের অধ্যাপক জোসিন্তা জিনিয়া ও পেশাগত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাসুম উল আলম।
আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অন্তত ৪০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন