ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার (১৭ এপ্রিল) সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরাইল যদি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষুদ্রতম আগ্রাসনও চালায়, তাহলে এর প্রতিক্রিয়া হবে ব্যাপক এবং কঠোর। তিনি জানিয়েছেন, তার দেশ এই অঞ্চলে সম্ভাব্য ইসরাইলি প্রতিশোধমূলক হামলার জন্য প্রস্তুত।
গত শনিবার রাতে ইসরাইলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেতে ইরানি কনস্যুলেট ভবনে একটি বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। ওই হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরাইলে আক্রমণ করে ইরান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরাইলে তার দেশের হামলাকে তেহরানের একটি সৎ প্রতিশ্রুতি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী শাসনের গৌরব মাটিতে নামিয়ে এনেছে ওই হামলা।
রাইসি বুধবার তেহরানে একটি বার্ষিক সেনা কুচকাওয়াজে নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অভিযানটি প্রমাণ করেছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত।
শনিবার রাতের হামলাকে তিনি সীমিত পরিসরয়ের হামলা আখ্যা দিয়ে দাবি করেন, ইরান যদি আরও বড় হামলা চালাতে চাইত, তাহলে ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে আর কিছুই থাকত না।
উল্লেখ্য যে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি যে বার্ষিক সেনা কুচকাওয়াজে বক্তৃতা দিয়েছেন তা প্রতিবছর যে স্থানে অনুষ্ঠিত হয় এবার সেখানে হয়নি। এবার রাজধানী তেহরানের উত্তরে একটি ব্যারাকে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হয়েছে। এর আগে প্রতি বছর শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে একটি মহাসড়কে এই অনুষ্ঠান হতো। তবে এই স্থান পরিবর্তনের কোনো কারণ ইরানি কর্তৃপক্ষ বা সংবাদমাধ্যম জানায়নি।