বাড়তি ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে যাত্রীদের বেধড়ক পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের বাসচালক ও কন্ডাক্টরের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (ডিইপিজেড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাই গুরুতর আহতাবস্থায় বাসচালক সোহেল রানা বাবু (৪০) ও কন্ডাক্টর হৃদয় হোসেনকে (৩০) উদ্ধার করে গাজীপুরের কাশিমপুরে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাত ৮টার দিকে তারা মারা যান।
নিহত সোহেল রানা বাবুর বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় এবং হৃদয় হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর থেকে ছেড়ে আসা ইতিহাস পরিবহনের বাসে বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কন্ডাক্টর হৃদয়ের বচসা হয়। চালক সোহেল কন্ডাক্টরের পক্ষ নিলে যাত্রীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে এক যাত্রী তাদের মারধরের হুমকি দেয়। বাসটি ইপিজেড এলাকায় পৌঁছলে কয়েক যুবক বাসে উঠে চালক ও কন্ডাক্টরকে মারধর শুরু করে। এ সময় বাসচালকের সহকারী পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চালক ও কন্ডাক্টরকে হাসপাতালে নিয়ে যান অন্য যাত্রীরা।
রাতে হাসপাতালে নিহত হৃদয়ের বড় ভাই আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘একজন যাত্রী মিরপুর থেকে গাড়িতে ওঠে। রাস্তায় ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে হৃদয়ের তর্ক হয়েছিল। বাসটি ইপিজেড এলাকায় পৌঁছলে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক গাড়িতে উঠে আমার ভাই ও চালককে পিটিয়ে আহত করে। আমরা হৃদয়ের লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাব।
বিষয়টি নিয়ে ইতিহাস পরিবহনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘চালক ও কন্ডাক্টর দু’জনই মারা গেছে। তবে বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে মারধরে তারা মারা গেছে কিনা জানি না।’
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক এএফএম সায়েদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়াও চলমান।