অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে রাখা রাশিয়ার দুটি বড় জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবাহিনীর ব্যবহার করা বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা করেছে দেশটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে দখল করে রাখা ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে থাকা রুশ জাহাজ আজভ ও ইয়ামালে সফলভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের একটি যোগাযোগ কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থাপনাতেও রাতভর হামলা করা হয়েছে। তবে কীভাবে এসব হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, তা ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করেনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
এদিকে রাতভর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার নিয়োগ করা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ। টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেভাস্তোপোল বন্দরের ওপর থেকে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিমিয়ায় এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মিখাইল আরও জানান, ইউক্রেনের হামলায় ৬৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কিছু নৌযান ও বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী ও ১৩টি স্কুল বাস রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে শহরে একটি বড় বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে বাতাসে আগুনের গোলা এবং কালো ধোঁয়া দেখা গেছে।
কিয়েভ দাবি করেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করেছে। সাধারণত ওই এলাকায় বিস্ফোরকভর্তি সমুদ্রভিত্তিক ড্রোন ব্যবহার করে রাতে হামলা করা হয়।