রমজান মাসে সেহরি সারা দিন রোজা রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেহরির খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ এসময় খাওয়া খাবার থেকেই আপনি সারাদিনের শক্তি ও পুষ্টি পাবেন। অনেক সময় আমরা ভুল করে সাহরিতে এমন সব খাবার খেয়ে থাকি যা সারাদিন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো সাহরিতে এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ভাজা খাবার
ত্বক ও চুলের যত্নে বাড়িতে ৫ গাছ
ভাজা খাবার যেমন সমুচা, পাকোড়া বা পেঁয়াজু-বেগুনিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ক্যালোরি বেশি থাকে, যা রোজার সময় বদহজম, পেট ফোলা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহরিতে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেইসঙ্গে ইফতারেও যতটা সম্ভব ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. নোনতা খাবার
অতিরিক্ত লবণ খেলে তা রোজার সময় ডিহাইড্রেশন এবং তৃষ্ণার কারণ হতে পারে। নোনতা খাবার যেমন আলুর চিপস, লবণাক্ত বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত মাংস সাহরির সময় এড়িয়ে চলুন। অন্যান্য সময়েও এ ধরনের খাবার যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো।
৩. চিনিযুক্ত পানীয়
ফলের রস, কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকসের মতো মিষ্টি পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সাহরিতে এ ধরনের পানীয় পান করলে আপনি সারাদিন অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। এতে রোজা থাকা কষ্টকর হবে। তাই সাহরিতে চিনিযুক্ত পানীয় খাবেন না।
৪. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার
স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাংস, ক্রিমি সস এবং ভাজা খাবার হজম হতে বেশি সময় নিতে পারে। এ ধরনের খাবার রোজার সময় অস্বস্তি এবং পেট ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই সাহরিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. অতিরিক্ত মসলাদার খাবার
যদিও মসলা খাবারে স্বাদ যোগ করে কিন্তু অত্যাধিক মসলাদার খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালার কারণ হতে পারে। এটি বুকে জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সাহরিতে খাওয়া হয়। তাই সাহরির খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।