নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও রমনা থানার আলাদা ৯টি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখান। তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকালে কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এসব মামলায় তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল ৩১ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী শুনানির জন্যে আজকের দিন ধার্য করেন। পল্টন থানায় পুলিশ কনস্টেবল হত্যাসহ পাঁচ মামলা ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ রমনা থানার চার মামলায় এই আবেদন করা হয়েছে।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত মির্জা আব্বাসের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার ধার্য করেন।
অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন বলেন, মির্জা আব্বাসকে গত ১ নভেম্বর এক মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন, শাহজাহানপুর, রমনা ও রেলওয়ে থানায় কয়েকটি মামলা হয়। কমপক্ষে ১১টি মামলায় মির্জা আব্বাসকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে তাকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বাকি ৯টিতে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রেপ্তার না দেখানোতে তার জামিনের আবেদন শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবী আরও বলেন, বৃহস্পতিবার মির্জা আব্বাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।