বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কারণে কাউকে কারাগারে আটক রাখা যেতে পারে না বলেও মহাসচিবের তরফে মন্তব্য করেন তার মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।
সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ এবং কারাগারে আটক বিরোধীদলসমূহের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতিংসঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “বাংলাদেশে বিভিন্ন মামলায় কিংবা মামলা ব্যতীত আটক সকল রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা যে আহবান জানিয়েছেন সেই আহ্বানের সঙ্গে মহাসচিব কী একমত? আপনি জানেন যে, প্রধান বিরোধীদল বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ২৫ হাজারেরও বেশী রাজনৈতিক কর্মীদের আটক করে গত ৭ জানুয়ারি একটি প্রতারণার নির্বাচন সম্পন্ন করে ক্ষমতাসীন শাসক দল।”
জবাবে ডোজারিক বলেন, “রাজনৈতিক মত প্রকাশের কারণে মানুষদের কারাগারে প্রেরণ, এটা হতে পারে না বলে আমরা নীতিগতভাবে বিশ্বাস করি।”
তিনি অনতিবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তির আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে আটক বিরোধীদলের ২৫,০০০ নেতা-কর্মীকে অনতিবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে জাতিসংঘ শঙ্কিত। এটি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিপন্ন করতে পারে।