প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় পটুয়াখালীর ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধার বাবার জানাজায় অংশ নেয়ার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর সংবাদ নজরে আনলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ উষ্মা প্রকাশ করেন। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড (অসভ্য) হিসেবে পরিচিত হবো।
এ ছাড়া হাইকোর্ট আদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক আইনি প্রক্রিয়া বজায় রাখার আগে আইনজীবীকে আদালত বলেন, সম্পূরক আবেদন দিতে পারেন। চাইলে নতুন করে আবেদন নিয়েও আসতে পারেন। এ বিষয়ে কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, এ সপ্তাহের মধ্যেই পিটিশনটি করবো।
‘বাবার জানাজায় ডাণ্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদলের নেতা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান আইনজীবী কায়সার কামাল। তিনি আদালতকে বলেন, একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র দিন দিন নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছে। তথন আদালত বলেন আমরা দেখছি। চাইলে সম্পূরক আবেদন দিতে পারেন। নতুন করে আবেদন নিয়েও আসতে পারেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুলকে গত বছরের ২০শে ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাবার জানাজায় অংশ নেয়ার জন্য নাজমুলকে প্যারোলে মুক্তি দেন আদালত। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। গত শনিবার বেলা ৩টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডাণ্ডাবেড়ি। মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।