তীব্র শীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ

0
100

প্রকৃতিতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঠাণ্ডায় ঠকঠক কাঁপছে সারাদেশ। ঘন কুয়াশার চাদরে ছেয়ে আছে উত্তরাঞ্চল; সূর্যের দেখা মেলেনি সপ্তাহখানেক। গত কয়েকদিনে শীতের প্রকোপ বেশ ভালোই টের পেয়েছে এমনকি রাজধানীবাসীও। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ, যাতে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫ বছরের কম বয়স্ক শিশু। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে শিশুমৃত্যুর হারও।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঠাণ্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ার প্রকোপই এখন বেশি। আর এতে নবজাতক ও শিশুদের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধরাও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সারা দেশে তিন হাজার ১০১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয় ৮৯০ জন। ভাইরাল ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হয় দুই হাজার ২১১ জন। এই সময়ে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শনিবার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। আর ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি রোগী বেশি ছিল কক্সবাজার, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুষ্টিয়া জেলায়। ভর্তি রোগীদের ৮০ শতাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।

ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর চাপ লক্ষ্য করা গেছে রাজধানীতেও। ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্র বলছে, অক্টোবর থেকে ঠাণ্ডাজনিত কারণে রোগী আসছে। গত কয়েক দিন শীত বাড়ায় শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশ বেড়েছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন।

শিশু মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, আমাদের এখানে অন্যান্য সময় যত শিশু রোগী আসত, শীতের প্রকোপে জানুয়ারির শুরু থেকে তার দ্বিগুণের বেশি আসছে। প্রতিদিন যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ শিশু রোগী আসতো, সেখানে গত কয়েকদিনে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী আসছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here