সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নিজ ভাড়া দোকানের ভিতর থেকে শহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক টিভি মেকানিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের ১নং রেলগুমটি সংলগ্ন রেললাইনের পাশে টেলিভিশন সার্ভিসের ওই দোকান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য শহিদুলের লাশ শনিবার রাতেই নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতের মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর এ ঘটনায় বিভিন্ন এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের বিষয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। মৃত শহিদুল রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী এলাকার মৃত হাসমত আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ছোট এক মেয়েসহ সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়া তেজপাতা গাছ রোড এলাকায় বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।
শহিদুলের স্ত্রী বেবী নাজনীন (৩৫) জানান, তার স্বামী ওই এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে টিভি সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের সার্ভিসিংয়ের কাজ করতো। সে প্রায়ই রাতে দোকানে গিয়ে তার পেশাগত কাজে নিয়োজিত থাকতো। ঘটনার দিন শনিবার ভোরে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে শনিবার বিকেলে লোক মারফতে খবর পান তার স্বামীর দোকানের কিছু অংশ শার্টার খোলা এবং সকাল থেকে সে বের হয়নি। এমন সংবাদ পেয়ে তিনি দোকানে গিয়ে দেখেন তার স্বামী শহিদুল মৃত অবস্থায় দোকানে পড়ে রয়েছেন। এসময় তার মুখে রক্তের লালা বের হওয়া ছিল। তিনি থানায় দেওয়া লিখিত সংবাদ প্রসঙ্গে বলেন তার স্বামী বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিলেও সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় সবসময় হতাশাগ্রস্থ থাকতো। এ কারণে হতাশাগ্রস্থ হয়ে শনিবার ভোর থেকে বিকেলের মধ্যে যেকোন সময় গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। পরে লোকজনের সহায়তায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। এদিকে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে মৃত শহিদুলের ভাড়া বাড়ি থেকে রাতে মরদেহ উদ্ধার এবং প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে রাতেই ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।