খবর ৭১: দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি গুদামে ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪১০ মে. টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ দিনের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিবিএসের তথ্যমতে, আউশ ২৯.০১ লাখ মে. টন ও আমন ১৫৪.২৬ লাখ মে. টন উৎপাদিত হয়েছে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী একই সময়ে সম্ভাব্য বোরো উৎপাদন ২০৭.২২ লাখ মে. টন এবং গম উৎপাদন ১১.৬০ লাখ মে. টন সর্বমোট খাদ্যশস্য উৎপাদন ৪০২.০৯ লাখ মে. টন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬.৯৮ কোটি হলে (প্রাক্কলিত) মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হয় ২১৮.০৪ লাখ মে. টন (চাল ২০৩.৮৪ লাখ মে. টন এবং গম ১৪.১৯ লাখ মে. টন), যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের চেয়ে কম। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২* বিবেচনায় ২০২৩ সালের ১ জুলাই দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৭.১৮ কোটি (প্রাক্কলিত)। সে হিসাবে দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২২০.৬০ লাখ মে. টন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন যদি পূর্ববর্তী বছরের মতো একই হয় তবুও দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৮,৫৪,৪১০ মে: টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে ১৬,৬০,৬৫১ মে: টন চাল ও ১,৯৩,৭৫৯ মে: টন গম। সরকার আপদকালীন খাদ্যশস্যের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। বর্তমানে বোরো সংগ্রহ মৌসুম চলমান। চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমের আওতায় গত ০৭ মে থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।