খবর ৭১: অনুমতি ছাড়া বিদেশে অর্থ স্থানান্তর বিষয়ে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান করে আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছিল কি না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর হাইকোর্টের বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ওই আর্জি আমলে নিয়ে রোববার (৬ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আজ ওই প্রতিবেদন তুলে ধরে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে অংশ নেন।
গত ৪ আগস্ট একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে ‘‘এস আলম‘স আলাদিন ল্যাম্প‘স’’ (এস আলমের আলাদিনের চেরাগ) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তবে, বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নেননি তিনি। প্রতিবেদনের বিষয়টি আজ রোববার আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।