খবর ৭১: আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস নোটে এ আহ্বান জানান হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স।
পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করার পাশাপাশি দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে- শুক্রবার প্রকাশিত প্রেস নোটে এমন আহ্বানও জানান তিনি।
প্রেস নোটে বলা হয়, গত কয়েক মাসে বিরোধীদের বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে, যেখানে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। প্রতিবাদকারীদের দমনে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের ব্যক্তিদের হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট ও লোহার রডসহ নানা ধরনের বস্তু ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এতে বলা হয়, এসব ঘটনায় বিরোধী দলের সমর্থকদের সঙ্গে কিছু পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। জ্যেষ্ঠ বিরোধী নেতাদেরও প্রকাশ্যে পেটানো হয়। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়। সমাবেশের আগে ও সমাবেশকালে বিরোধী দলের শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেরেমি লরেন্স বলেন, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে। জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার সুযোগ দিতে হবে। তৃতীয় কোনো পক্ষ জনগণের সেই অধিকারকে দমন করতে চাইলে, তাদের অধিকার রক্ষায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, কেবল জরুরি প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রিতভাবে বল প্রয়োগ করা যেতে পারে। যদি করতেই হয়, বৈধতা, সংযমের ভিত্তিতে এবং যৌক্তিক কারণ সাপেক্ষে তা করতে হবে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টি অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র বলেন, আগামী বছরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই, যা রাজনৈতিক বহুত্ববাদ এবং ভিন্নমত প্রকাশের প্রতি শ্রদ্ধা তৈরি করে এবং সেটিকে উৎসাহিত করে।