খবর ৭১: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বৃহস্পতিবার শান্তি সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। শুরুতে মৌখিকভাবে তাদের সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে নিষেধ করা হয়। সে জন্য তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করতে আমাদের মৌখিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতিও নিয়েছি। এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাস্তায় সমাবেশ না করার জন্য। আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। আমরা পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। তাই সর্বশেষ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে সমাবেশ করতে পারি। সেখানে অস্থায়ী মঞ্চ করা হবে। জিমনেসিয়াম মাঠের অনুমতির জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’
আবেদনের প্রক্রিয়া ছাত্রলীগের মাধ্যমে হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানান, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবেশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদনের বিষয়ে এখনো জানি না। যদি এ রকম কোনো বিষয়ে দিক–নির্দেশনা থাকে তাহলে পরবর্তীতে জানানো হবে।’
এর আগে আজ ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, মানুষকে কষ্ট না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ করা উচিত। ভবিষ্যতে হয়তো এমন সময় আসবে যে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে এসব কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা লাগতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৯টি দলের আবেদন পেয়েছি তাদের সমাবেশ করার জন্য। আমরা পর্যালোচনা করে কয়েকটি পার্টিকে অনুমতি দেব। যারা অনুমতি পাবে তাদের রাজনৈতিক সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’
এদিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। এ দুই স্থানের পরিবর্তে বিএনপিকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের অবজারভেশন রয়েছে। আমরা বিএনপির প্রতিনিধিদলকে গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।