খবর ৭১: মোহাম্মদ নাঈম শেখ-তানজীদ হাসান তামিমের ব্যাটে শুরুটা কি দারুণই না হয়েছিল। সেই জুটি ভাঙতেই যেন পতনের শুরু। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানে হেরে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২১১ রান করে ভারত। রান তাড়া করতে নেমে ১৬০ রানে অলআউট হয় সাইফ হাসানের দল। রোববার এই মাঠেই ট্রফির লড়াইয়ে লড়বে ভারত-পাকিস্তান।
হারশিথ রানাকে ৪টি চারে ইনিংসের সূচনা করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পাওয়ার প্লের প্রথম ৫ ওভারে নাঈমের তাণ্ডব শেষ হলে শুরু হয় আরেক ওপেনার তানজীদ হাসান তামিমের ঝড়। দুজনে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৬০ রান। দলীয় ৭০ রানে মানব সুথারের বলে বোল্ড হয়ে নাঈম ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩৮ রান।
নাঈম ফিরলেও জাকিরকে নিয়ে সাবলীল খেলছিলেন তানজীদ। সুথারকে টানা ২ চারে তিনি তুলে নেন ফিফটি। পরের ওভারে সিন্ধুর ঘূর্ণিতে ৫১ রানে ফেরেন তানজীদ। এরপরেই বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলে।
৬৭ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৯ উইকেট। মাহমুদুল হাসান জয়-সাইফ হাসান জুটি গড়ার আভাস দিয়েছিলেন। ২২ রানে সাইফ ফেরায় সেটিও আর হয়ে ওঠেনি। তবে জয় একাই লড়ছিলেন। উইকেটের মিছিলে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০ রানে জয় ফিরলে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। জয় আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ মাত্র ৫ রান করতে পারে।
ভারতের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন সিন্ধু। ৮ ওভারে মাত্র ২০ রান দেন তিনি। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন মানব সুথার। ১টি করে উইকেট নেন যুবরাজ সিং দোদিয়া ও অভিষেক শর্মা।
এর আগে ব্যাটিং ধসের মুখে অধিনায়ক যশ ঢুল একপ্রান্ত আগলে দলীয় সংগ্রহ ২০০ পার করান। তিনি ৮৫ বলে ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। এ ছাড়া অভিষেক শর্মা ৩৪ রান করেন ২ চার ও ১ ছক্কায়। সাই সুদর্শন ও মানভ সুথার ২১টি করে রান করেন।
বল হাতে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল, সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার।