খবর ৭১:ভার্সেটাইলো গ্রুপের গুলশান-২এর কার্যালয়ে উৎযাপিত হলো বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের সংগীতজীবনের ২৫ বছর পূর্তি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়ে সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অনেক আগেই। সংগীতজীবনের পাশাপাশি আসিফ আকবর শুরু করেছেন কর্ম জীবন। ভার্সেটাইলো গ্রুপের হ্যালো সুপারস্টার’স অ্যাপ এর কান্টি ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত হন গায়ক আসিফ আকবর । নিজ কর্মস্থলে সহকর্মী, অভিনয় শিল্পী ও সংগীত শিল্পীদের সাথে নিয়ে সংগীতজীবনের ২৫ বছর উৎদযাপন করলেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর।
আসিফের সংগীতজীবনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী আলম আরা মিনু, গীতিকার শহিদুল্লাহ ফরায়েজী, শিল্পী বেলাল খান, অভিনেতা আজিজুল হাকিম দম্পতি, সুরকার সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন, সংগীত শিল্পী মনোয়ার হোসেন টুটুল, তরুণ মুন্সি, নাজির মাহমুদ,আজমিরী বাবু,বাকীউল আলম, আরিফ, আহমেদ রিজভী,সুজন আরিফ, কিশোর দাস, কাজী শুভ প্রমুখ।
শনিবার (৮ জুলাই) আসিফ আকবর ফেসবুকে ২৫ বছর উদযাপনের কয়েকটা ছবি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, টিভি দেখা হয় না, কেন দেখবো সেটারও কোনো কারণ খুঁজে পাই না। দিন দিন অপদার্থ হয়ে যাচ্ছি। তবে আটটি জাতীয় দৈনিক নিয়মিত কিনে পড়ি। গত কয়েকদিন পেপারে দেখছি পানিতে ডুবে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে।
পরিসংখ্যানে দেখলাম দেশে গড়ে চল্লিশ জন শিশু শুধু পানিতে ডুবে মারা যায়। চিন্তায় পরে গেলাম, মর্মান্তিক অসহায়ত্ব। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় প্রতিদিন গড়ে সতেরো জন। ডেঙ্গু জ্বরের দাপট বাড়ছেই, গতকাল মারা গেছে আটজন, সামনে নাকি ভয়াবহ অবস্থা আসছে। অলরেডি ঘটে যাওয়া ট্র্যাজেডিগুলোয় আর না গেলাম।
তিনি আরও লিখেছেন, এদিকে শোবিজের রসালো বিচ্ছেদ বাদে ঢাকায় গড়ে ডিভোর্স হচ্ছে ৩৯টা। ঢাকার বাইরে সর্বোচ্চ ডিভোর্স রাজশাহীতে। আশার কথা- ডিভোর্সের দিক থেকে কুমিল্লায় হতাশা নেই! দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠী আছে ১২৬২৯ জন।
আঠারো কোটির বাংলাদেশে ডাবল ট্রিপল আইডিতে ফেসবুকার আর ইউটিউবার আছে প্রায় ৭২ কোটি, সংখ্যাটা অবশ্য অনুমানের কাছাকাছি (পরীক্ষা প্রার্থনীয়)। ফলশ্রুতিতে এই দেশে প্রতিদিনই কারণে অকারণে তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব ঘটে যায়। শত হাজার বছর ধরে চলতে থাকা বিপ্লবগুলো সরাসরি ভূপাতিত।
রাষ্ট্র কিংবা সিনেমা, স্যাংশন কিংবা ক্রিকেট, সুদ ঘুস ড্রাগ ধর্ষণ গুম খুন ডাকাতি লুট চুরি অনিয়ম বাজার মুনাফাসহ সব এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়, নিজে ফেরেশতা আর বাকী সবাই দোষী, খুবই হিট ফর্মেট চলছে। এতোসবের ড়িড়ে আমার অফিস হ্যালো সুপারস্টার্সের কলিগরা ক্যারিয়ারের পঁচিশ বছর পূর্তিতে একটা আয়োজন করেছে ভালোবেসে। মফস্বল থেকে উঠে আসা আসিফকে দোয়া জানাতে এসেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিরর মুরুব্বী এবং কলিগরা।
কেউ কেউ আসেননি, কেউ আসতে পারেননি, কিছু প্রিয় মানুষের কাছে ম্যাসেজ যায়নি ভুলে, এজন্য কলিগদের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। ফিডব্যাক লিজেন্ড মাকসুদ ভাইয়ের ভাষায়- ধন্যবাদ এই বেঁচে থাকা। ভালোবাসা অবিরাম।গানের সঙ্গে আসিফ আকবরের পথচলা শুরু হয় কুমিল্লায়, ফিকেল বয়েজ নামের একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে। তিন বছর বিভিন্ন ব্যান্ডের গান কাভার করার পর সংগীতে থিতু হতে চলে আসেন ঢাকায়। পরিচয় হয় সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমনের সঙ্গে। তার সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন আসিফ। একদিন এই ইমনের হাত ধরেই বাংলা সিনেমার জন্য প্রথম কণ্ঠ দেন তিনি। সিনেমার নাম ‘রাজা নাম্বার ওয়ান’, নায়ক ছিলেন মান্না।
‘রাজা নাম্বার ওয়ান’ সিনেমায় গাওয়ার পর প্লেব্যাকে আসিফের ব্যস্ততা বাড়ে। একদিন ইথুন বাবুর নজরে পড়েন। আসিফের দরাজ কণ্ঠ মুগ্ধ করেছিল তাকে। আসিফকে নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশের পরিকল্পনা করেন ইথুন।
২০০১ সালে প্রকাশ পায় ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’। অ্যালবামটি তরুণ আসিফকে পৌঁছে দিয়েছিল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। আসিফের ভরাট কণ্ঠের গানগুলো দিন-রাত বাজতে শুরু করেছিল পাড়া-মহল্লায়। এরপরের গল্প সবার জানা।
একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়ে শ্রোতাদের কাছে হয়ে ওঠেন বাংলা গানের যুবরাজ। মাঝে অভিমান থেকে কিছুটা সময় বিরতি নিলেও ভক্তদের টানে আবার ফিরে আসেন গানে।