খবর ৭১: মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন ব্রেইন-ইমপ্লান্ট কোম্পানি নিউরালিংক। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে প্রথম ইন-হিউম্যান ক্লিনিক্যাল স্টাডি শুরুর সবুজ সংকেতও পেয়েছে সংস্থাটি। খবর রয়টার্স ও গার্ডিয়ান’র
ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি এবং গতিশীলতা আনতে সহায়তা করতে চায়।
রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের গোড়ার দিকে নিউরালিংক সংস্থাটি এফডিএ’র অনুমোদন চেয়েছিল। সে সময় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
নিউরালিংক আশা করছে, প্যারালাইসিস ও অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিত্সা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হবে।
বানরের ওপর পরীক্ষা করা চিপগুলো মস্তিষ্কে উত্পাদিত সংকেতগুলো ব্যাখ্যা করতে ডিজাইন করা হয়েছে।
নিউরালিংক ঘোষণা দিয়েছে, ‘এ খাতে এমনটা প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। আমরা উচ্ছ্বসিত যে, আমরা প্রথমবার মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের (ইমপ্ল্যান্ট) বিষয়ে পরীক্ষা চালানোর জন্য এফডিএ’র অনুমতি পেয়েছি। এটি মূলত নিউরালিংকের সঙ্গে এফডিএ’র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ফলাফল।’
২০১৬ সালে মাস্কের নিউরালিংক প্রতিষ্ঠানটি বারবার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, ২০২০ সালে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ লাগানো শুরু করা। পরে অনুমোদন না পেলে ২০২২ সালে কাজটি শুরু করার অঙ্গীকার করে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই পরিকল্পনা আরও একবার ধাক্কা খেয়েছিল। তবে এবার তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমোদন পেল।