খবর৭১:;দেশে চলতি বছরে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই এডিস ভাইরাসবাহিত মশার কামড়ে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গি রোগী বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ফলে রোগীর চাপ কমাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলছে অধিদপ্তর। বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ডেঙ্গি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা (অন্য বছরের এ সময়ের তুলনায়) বেশ কয়েকগুণ বেশি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। সেজন্য আমরা মনে করি আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। সেটি এরই মধ্যে শুরু করেছি। আমরা দেশবাসীকে এজন্য সচেতন করতে চাই, যাতে সবাই এই মৌসুমে নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলি।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও আছেন। একসঙ্গে কাজ করছি। সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশক ব্যবস্থাপনার কাজ আরও জোর দিয়ে করা গেলে এই বছর যে ভয়ভীতি সেটি কাটিয়ে উঠতে পারবো। গত বছর যে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়েছে তাও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৩৫ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গি বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন ভর্তি রোগীর ৩০ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং পাঁচজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশে সর্বমোট ১৬৪ জন ডেঙ্গি রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে সারা দেশে ২৪ জন ডেঙ্গি রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।