খবর৭১ঃ
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ৬৫ দিনের জন্য সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কাজী শামস আফরোজ এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৮৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালায় সংযোজিত ১৯নং বিধিমোতাবেক ‘সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও মজুদ, সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান এবং বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (কাঁকড়াজাতীয় জলজ প্রাণী) আহরণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চিঠিতে যথাযথ প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষার্থে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটিকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
প্রচারণা ও সচেতনতার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার ও ব্যানার টানানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবী সমিতি/নৌযান মালিক সমিতি/মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির কাছে পত্র জারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
সুন্দরবন অঞ্চলে জুন, জুলাই ও আগস্ট- এই তিন মাস মাছ ধরাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অঞ্চলে অতিরিক্ত ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ সুন্দরবন অঞ্চলে ২০ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকছে। এ অঞ্চলে ৩ মাস ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর।