খবর ৭১: সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির প্রতিদিনই অবনতি ঘটছে। এই সংঘাত দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইন জানিয়েছে, সুদানের যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে কেউই সহজে জিততে পারবে না। একটি চটপটে আধাসামরিক বাহিনী এবং উন্নত-সজ্জিত সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্ভাব্য টানা যুদ্ধ এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে।
সুদানের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ১৫ এপ্রিল আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান কার্যত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে উপ-প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোকে। বেসমারিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ইস্যুতে এই দুজনের মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ সৃষ্টি হয়। শনিবার যুদ্ধবিরতি থাকলেও উভয়পক্ষে গোলা বিনিময় হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ সুদান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহের লড়াইয়ে রাজধানী খার্তুমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপ থাকার পরও দুই জেনারেলের মধ্যে সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাজধানী খার্তুমে ভয়ানক লড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, সুদানের ক্ষমতাচ্যুত শাসক ওমর আল-বশিরের নেতৃস্থানীয় সহযোগীরা সংঘাতের সুযোগে জেল থেকে পালিয়েছে। বশিরের দলের নেতারা এই যুদ্ধে সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বশিরের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা আহমেদ হারুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের পরোয়ানা রয়েছে। তিনি গত সপ্তাহে কারাগার থেকে পালিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এর ফলে দুই বাহিনীর মধ্যে লড়াই আরও প্রলম্বিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।