খবর ৭১: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বুধবার। তার মা জায়েদা খাতুনও মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীর আলম নিজেই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তার উপর কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণে জন্য। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিটের কর্মী সমর্থকরা তার বাড়িতে ভিড় করে আসছে। তিনি তাদের প্রার্থী হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। তিনি আরো একবার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। প্রথম থেকেই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার আভাস পাওয়া গেলেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হলো।
এদিকে তার কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জনগণের সহানুভুতি থাকায় তিনি নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন। তবে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে কোনো চাপ এলে তার বিকল্প হিসেবে তার মাকে নিয়েই মাঠে নামবেন কর্মী সমর্থকরার। সেজন্য তার মা জায়েদা খাতুনও নির্বাচনে অংশ নিতে সম্মত হয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি আরেকবার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। নির্বাচনে সাধারণ জনগণকে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তিন বছরের মধ্যে তাকে বরখাস্ত করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে তিনি চ্যালেঞ্জটা নিতে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজে মনোনয়ন ফরম তুলেছি। এছাড়াও মায়ের নামেও তিনি মনোনয়ন ফরম কেনেন বলে জানান।
বৃহস্পতিবার তিনি নিজে ও তার মা দুজনেরই মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে এর আগে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, গণফ্রন্টসহ বেশ কয়েকজন মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম কিনলেও বিএনপির কেউ এখন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেনি।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়র পদে ১৩জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৯৮জন, সাধারণ আসনেরকাউন্সিলর পদে ৩৪০জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম ক্রয় ও জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই। ৮মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ৯মে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ২৫ মে।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ভোট নেয়ার জন্য ৪৭৮টি কেন্দ্র থাকবে, কক্ষ থাকবে ৩৪৯১টি। এছাড়াও অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪৮৬টি। এছাড়াও প্রিজাইডিং অফিসার ৪৭৮জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৩হাজার ৪৯১জন, পোলিং অফিসার থাকবেন ৬হাজার ৯৮২জন।