খবর ৭১: ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়েও পুরোপুরি নেভানো যায়নি রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিটের পাশাপাশি, বিজিবির ১২ প্লাটুন সদস্য, র্যাবের ১৭টি টিম, সেনা-নৌ ও বিমানবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রি. জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কিনা তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
তবে তিনি ক্ষয়ক্ষতির কোনো পরিমাণ জানাতে পারেননি।
এ সময় উৎসুক জনতার জন্য কাজ করতে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ডিজি।
এদিকে আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। কারণ ধোঁয়ার পাশাপাশি এসির বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে তাদের কাজ করতে হয়েছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি এসি বিস্ফোরণের তথ্য পাওয়া গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে অবশ্য বঙ্গবাজারের মতো পানির সংকটে পড়তে হয়নি ফায়ার ফাইটারদেরকে। ঢাকা কলেজের পুকুর এবং আজিমপুর এলাকার বিভিন্ন জলাধার থেকে পানি ব্যবহার করে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
তবে ফায়ার ফাইটার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো মার্কেটটিতে কাপড়ের দোকান। তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলার কাপড়ে আগুন ধরায় প্রচুর ধোঁয়া হচ্ছে। এ কারণে ভেতরে ঢুকে কাজ করা অসম্ভব হয় উঠেছে।
ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা বলছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এক পাশের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে অন্য পাশে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে। এছাড়া দ্বিতীয় তলা এসি থাকার কারণে এসবের বিস্ফোরণে আগুন ও ধোঁয়া বাড়ছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অরক্ষিত বৈদ্যুতিক লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আর মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণেরও ভালো ব্যবস্থা ছিল না। সব মিলিয়ে আগুনকে প্রাথমিক অবস্থায় নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
এরআগে, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে কয়েক হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রায় ৭৫ ঘণ্টার চেষ্টা শেষেেআগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।