খবর৭১: মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বলিউড নায়িকা তাপসী পান্নু। ২০১০ সালে রুপালি পর্দায় পা রাখেন। তার দুই বছর আগে ২০০৮ সালে ভারতের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তাপসী। তখন তিনি ছাত্রী ছিলেন। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা?
তাপসীর ভাষ্য, পক্ষপাতিত্ব হয়েছিল বাছাই পর্বে। প্রশ্ন উঠেছিল সেখানে তার থাকার যোগ্যতা নিয়ে। সেই সময় তাকে চরম অপমানিত হতে হয়েছিল।
তাপসী জানান, দিল্লি থেকে বেছে নেওয়া তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। তাকে লড়াই করতে হয়েছিল পেশাদার মডেলদের সঙ্গে। তাদের তুলনায় তিনি ছিলেন অপেশাদার, অনভিজ্ঞ। তখনো পর্যন্ত তিনি শুধু ফটোশুট করেছিলেন। টিভির কোনো বিজ্ঞাপনে তার মুখ দেখা যায়নি, র্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতাও তার ছিল না।
তাপসী বলেন, গ্রুমিং পর্বে বুঝেছিলাম, এটা আমি করতে পারব না। আমাদের হাঁটা শেখানো হতো, কীভাবে হাসব, তাও শেখানো হতো। হেমন্ত ত্রিবেদী তখন ছিলেন শিক্ষক। তিনি বলেন, আমার হাতে থাকলে কখনই তুমি প্রথম ২৮ জনের মধ্যে জায়গা পেতে না।
শুটিং শেষের পার্টির পরে তাপসী বুঝতে পারেন, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং খারাপ পরিবেশের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে। নেপথ্যের কাহিনী তুলে ধরে অভিনেত্রী বলেন, নানা রকম পক্ষপাতিত্বের ঘটনা ঘটত সেখানে। প্রতিযোগীদের নানা চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল। শর্ত ছিল যে, প্রতিযোগীদের উপার্জনের ৩০ শতাংশ তিন বছরের জন্য অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।
সেই প্রতিযোগিতা থেকে দুটি খেতাব পেয়েছিলেন তাপসী। সেরা নতুন মুখের পুরস্কার (মিস ফ্রেশ ফেস) এবং সুন্দর ত্বকের পুরস্কার (মিস বিউটিফুল স্কিন)।
২০১০ সালে তেলেগু ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তাপসী। ২০১৩ সালে ‘চাশমে বাদ্দুর’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তার। আশির দশকের বিখ্যাত হিন্দি ছবির এই রিমেকটির পরিচালক ছিলেন ডেভিড ধাওয়ান।