খবর ৭১: শ্রদ্ধা ও শোকের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পিলখানা হত্যা দিবস। পিলখানা ট্র্যাজেডির আজ ১৪ বছর পূর্ণ হলো। নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি শনিবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা শ্রদ্ধা জানানোর পর তিন বাহিনী প্রধানরা শ্রদ্ধা জানান। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রধানের পর নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্বজনরা নারকীয় সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকরের দাবি করেন। স্বজনরা আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পরও সে ঘটনায় করা দুটি মামলা এখনও ঝুলে আছে।
পরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় নিহত শহীদদের প্রতি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলায় ৮৪৬ জনকে আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। আর ২০১৭ সালে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।
বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পিলখানা হত্যা মামলা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের করা আপিল শুনানি শুরু না হওয়ায় হত্যা মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি আজও।