খবর৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে সব ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ রিটটি করেন। পরে তিনি জানান, রিট আবেদনটির ওপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ঢাবির বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিট আবেদনে নোটিশটির বৈধতা প্রশ্নে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল, প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা চলাকালে মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখতে হবে।
এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, একাডেমিক কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিটকারী আইনজীবী জানান, কান ও মুখ খোলা রাখার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। রিটে সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে।