খবর ৭১: অবশেষে স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে বাংলাদেশ। জাতীয় গ্যাস কোম্পানির দুই কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এলএনজির দাম বেড়ে গিয়েছিল। এতে টানা ১০ মাস তা কেনা বন্ধ রাখে সরকার। এখন মূল্য হ্রাস পাওয়ায় আবার জ্বালানি পণ্যটি কিনছে তারা।
গত সপ্তাহে স্পট মার্কেটে এক কার্গো এলএনজির ক্রয়াদেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে তা দেশে এসে পৌঁছাবে।
আরপিজিসিএলের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, ফরাসি কোম্পানি টোটালএনার্জিস এর কাছ থেকে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি কেনা হচ্ছে। এ কেনাকাটায় প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১৯ ডলার ৭৪ সেন্ট।
তবে এজন্য এখনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এমনকি এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি টোটালএনার্জিস।
প্রায় তিন-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভর করে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছর তা কেনা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা।
বাংলাদেশে এলএনজি আমদানির দায়িত্বে রয়েছে পেট্রোবাংলা। সরকার পরিচালিত গ্যাস কোম্পানিটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আগামী জুন পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে ১০-১২ কার্গো কেনার পরিকল্পনা করছি আমরা। এলএনজির দরপতন হয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির জন্য আমরা যে দাম দিচ্ছি, সেটার চেয়ে এখনও তা বেশি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়তে থাকে এলএনজির দাম। ফলে তা কেনা স্থগিত করে বাংলাদেশ সরকার। অবশেষে সেই অবস্থান থেকে সরে এলো তারা।