খবর ৭১: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারে মসজিদে আত্মঘাতী বোমাহামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহেরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশওয়ারের পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে ঘটা ওই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ১২০ জন। এলআরসি হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, জোহরের নামাজের সময় সামনের কাতারে ছিলেন আত্মঘাতী হামলাকারী।
পেশওয়ারের জেলা প্রশাসক শফি উল্লাহ খান নিশ্চিত করেছেন, আত্মঘাতী হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের জন্য রক্ত সহায়তা চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান পেশওয়ারের সব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোকে ত্রাণ তৎপরতা দ্রুত করার নির্দেশও দিয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি যখন মসজিদে যাচ্ছিলেন তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। এটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয় চারপাশ। তিনি আরও জানান, তার জ্ঞান ফিরলে মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়তে দেখেন।
সিভিল সেক্রেটারিয়েট অ্যাসোসিয়েশন পেশওয়ারের সভাপতি তাসাভুর ইকবাল, যিনি নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়েন, তিনি বলেন, পুলিশ লাইন্স এলাকার নিরাপত্তা কড়া থাকে সব সময় এবং কেউ তাদের পরিচয় ও দেহ তল্লাশি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না।
ইকবাল বলেন, ‘এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, যা আজ ঘটেছে। এটি একটি বড় মসজিদ এবং এক সময় চারশ থেকে পাঁচশ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। বিস্ফোরণের পর ভবনটি ধসে পড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একটি মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ প্রমাণ করে যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের ইসলামের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, টুইটারে এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
সূত্র: জিও নিউজ